ক্যানসার কোষ বদলে হবে স্বাভাবিক!
প্রকাশ: বৃহস্পতিবার, ১২ নভেম্বর ২০১৫
স্বাস্থ্য ডেস্ক

ক্যানসার কোষটিকে স্বাভাবিক করার পদ্ধতি বের করেছেন গবেষকরা। এতে ভবিষ্যতে ক্যানসার চিকিৎসায় বিপ্লব আসবে আশা করা যায়।
অন্যান্য প্রাণীর মতোই মানুষের দেহও অসংখ্য ছোট কোষ দিয়ে তৈরি। এসব কোষ নির্দিষ্ট সময় পর পর মারা যায় এবং সেখানে নতুন কোষ স্থান করে নেয়। কোষগুলো নিয়ন্ত্রিতভাবে ও নিয়মমতো বিভাজিত হয়ে নতুন কোষের জন্ম দেয়।
শরীরের স্বাভাবিক কোষের মতোই ক্যানসার কোষ থাকে। কিন্তু ক্যানসার কোষের বৃদ্ধি বা বিভাজন ঘটে অনিয়ন্ত্রিতভাবে। ক্যানসারের ক্ষেত্রে দেহ কোষের বিভাজন চলে অনিয়ন্ত্রিতভাবে। ফলে ত্বকের নিচে মাংসের দলা অথবা চাকা দেখা যায়। একেই টিউমার বলে।
যুক্তরাষ্ট্রের মেয়ো ক্লিনিকের গবেষকরা ক্যানসার কোষকে স্বাভাবিকে রূপান্তর করতে পেরেছেন। গবেষণাকারী দলটি এ জন্য স্তন ও মূত্রথলির ক্যানসার কোষ ব্যবহার করেছেন। এ রূপান্তর ঘটানোর জন্য কোষকলা পর্যায়ে তুলনামূলকভাবে সহজ হস্তক্ষেপ করতে হয়েছে গবেষক দলকে। এর মধ্য দিয়ে ক্যানসার কোষ আবার স্বাভাবিক কোষের মতোই আচরণ করতে শুরু করেছে বলে তারা দেখতে পেয়েছেন। অর্থাৎ ক্যানসার কোষ বদলে হয়ে গেছে শরীরের স্বাভাবিক কোষ।
গবেষকরা দেখতে পেয়েছেন, মাইক্রো আরএনএএস দেহ কোষের বিভাজন বা বৃদ্ধি নিয়ন্ত্রণ করে। কোষটিকে পিএলএকেএইএ৭ নামে আমিষ উৎপাদনের নির্দেশ দেয় এটি। সঠিক মাত্রায় আমিষটি উৎপাদিত হলেই বন্ধ হয়ে যায় কোষ বিভাজন।
ক্যানসার কোষে ওই আমিষ সঠিক মাত্রায় থাকে না। গবেষকরা ক্যানসার কোষে মাইক্রো আরএনএএস ঢুকিয়ে দেন। এরপর দেখতে পান সঠিক মাত্রায় ওই আমিষ উৎপাদিত হচ্ছে ক্যানসার কোষে। একই সঙ্গে ক্যানসার কোষের অস্বাভাবিক বিভাজনও বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। ন্যাচার সেল বায়োলজি-তে ওই গবেষণার বিষয়বস্তু প্রকাাশিত হয়েছে।
গবেষণাগারে মানুষের কোষে এ গবেষণা চালানো হয়েছে। ক্যানসার চিকিৎসায় ওই পদ্ধতি প্রয়োগের আগে অনেক পথ পাড়ি দিতে হবে। এরপরও গবেষকরা মনে করছেন, এর আগে কখনোই ক্যানসার সারিয়ে তোলার ক্ষেত্রে এতো ব্যাপক আশাবাদ দেখা যায়নি।