
এক মাস ধরে পুঁজিবাজারে লেনদেন, সূচকের পড়তি ধারা অব্যাহতভাবে চলে আসছে। বাজারটিকে এক ধরনের আতঙ্ক গ্রাস করছে। রাজনৈতিক অস্থিরতার প্রভাব পড়েছে। তথ্য-উপাত্ত তা-ই বলছে। বিভিন্ন ব্রোকারেজ হাউসের নির্বাহীদের সঙ্গে আলাপ করে জানা গেছে, বিনিয়োগকারীদের পক্ষ থেকে বাজারে নতুন বিনিয়োগ প্রায় নেই বললেই চলে। বিদেশি হত্যাকা- ঘটার আগে বাজারে ধীরে হলেও একটা গতির সৃষ্টি হয়েছিল যা অস্থিরতায় হারিয়ে যেতে বসেছে। সেপ্টেম্বরে গড় লেনদেন ৪৪০ কোটি টাকা ছিল যা অক্টোবরে ৩৫০ কোটি টাকায় নেমে এসেছে। বাজারের সাধারণ মূল্যসূচকও প্রায় ৩৫০ পয়েন্ট নেমে গেছে। গত মাসে বাজারে সবচেয়ে বেশি লেনদেন হওয়া শেয়ার লাফার্জ সুরমা সিমেন্টের দামও অব্যাহতভাবে কমে গেছে। এছাড়া বড় পুঁজির শেয়ার গ্রামীণফোনও পতনের ধারায় ছিল। এই সপ্তাহে দুর্বল মৌল ভিত্তি সম্পন্ন কোম্পানিগুলোকে বাজারদরে ঊর্ধ্বমুখী ও নিম্নমুখী ধারায় দেখা গেছে। এ কোম্পানিগুলোর দাম অপেক্ষাকৃত স্থিতিশীল ছিল। কোম্পানিগুলো গত বছর থেকে এবার কম হারে লভ্যাংশ ঘোষণার ঝোঁক অব্যাহত রেখেছে। পাওয়ার গ্রিড কোম্পানি এক্ষেত্রে ব্যতিক্রম। তারা ১৫ শতাংশ নগদ লভ্যাংশের ঘোষণা দেয়। গত বছর তারা ১০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছিল। কোহিনুর কেমিক্যাল ৩০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছে। তারা গত বছর ২৫ শতাংশ স্টক ডিভিডেন্ড দিয়েছিল। ন্যাশনাল পলিমার গত বছরের মতো এবারও ১৮ শতাংশ স্টক ডিভিডেন্ড দিয়েছে। হাক্কানি পাল্প গত বছরের মতো এবারও ৫ শতাংশ স্টক ডিভিডেন্ডের ঘোষণা দিয়েছে। প্রাইম টেক্সটাইল গত বছরের মতো এবারও ১০ শতাংশ স্টক ডিভিডেন্ড দিয়েছে।
এই সপ্তাহের ন্যাশনাল টিউবস ২০ শতাংশ স্টক ডিভিডেন্ডের ঘোষণা দেয়। অবশ্য তারা গত বছর ২০ শতাংশ নগদ ও ১০ শতাংশ স্টক ডিভিডেন্ড দেয়। ডেল্টা স্পিনারস ৫ শতাংশ নগদ ডিভিডেন্ড দেয়। গত বছর এই হার ছিল ১০ শতাংশ। শমরিতা হাসপাতাল শুধু ২০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশের ঘোষণা দেয়। গত বছর ২০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশের সঙ্গে ১০ স্টক ডিভিডেন্ড ছিল।
বিডি অটোকারস গত ৩ বছরের মতো এবারও কোনো লভ্যাংশ না দেয়ার ঘোষণা দেয়। বিকন ফার্মা ও ফাইন ফুডস গত বছরের মতো এবারও কোনো লভ্যাংশ দিতে পারেনি।