বাংলাদেশকে প্রভাবশালী দেশগুলোর কাছে কোণঠাসা হয়ে থাকতে হয় অনেক সময়। টুরিস্ট ভিসায় বিদেশে কাজ করতে গিয়ে কারাগারে থাকতে হয় অনেককে। এভাবে ‘অবৈধভাবে’ বিদেশে গিয়ে কাজ করার দুর্নামটা বাংলাদেশের গায়ে সেঁটে গেলেও টুরিস্ট ভিসায় অনেক   প্রভাবশালী দেশের বাসিন্দারা এখন বাংলাদেশে কাজ করছেন। কাজ করছেন ওয়ার্ক পারমিট ছাড়াই। সর্বশেষ  গত ৩০ অক্টোবর থেকে ১ নভেম্বর পর্যন্ত ভারতীয় একদল কলাকুশলী টুরিস্ট ভিসায় এসে কাজ করে গেছেন। কামাল মোহাম্মদ কিবরিয়া প্রযোজিত ‘দুই বাংলা’র ছবি ‘ব্ল্যাক’-এর শুটিংয়ে প্রায় ২৫ থেকে ৩০ জন কাজ করেছেন। রাজা চন্দ পরিচালিত যৌথ প্রযোজনার ওই ছবির নায়ক সোহমও কাজ করেছেন একইভাবে।
টুরিস্ট ভিসার প্রসঙ্গটি নাকচ করে দেন প্রযোজক কিবরিয়া। তিনি জানান, কাজের অনুমতি নিয়ে সবাই কাজ করছেন। এক্ষেত্রে বাংলাদেশ ও ভারতীয় দূতাবাসের অনুমতি নেয়া হয়েছে। তবে তারা কোন ভিসায় এসেছে তা দুই দেশের দূতাবাসের বিষয়। ওই অভিযোগ ওঠার ব্যাপারে তিনি বলেন, এটি তার বিরুদ্ধে কতিপয় মানুষের ষড়যন্ত্র। তবে এরূপ ঘটনা এবারই প্রথম নয়। এর আগে জাজ মাল্টিমিডিয়া প্রযোজিত প্রায় সব ছবিতে কলাকুশলী এ রকম ভিসায় এসে কাজ করেছেন। জানা গেছে, ‘অঙ্গার’ ছবির নায়ক ওম মাসের পর মাস এ দেশে থাকছেন টুরিস্ট ভিসাতেই। তবে জাজ কর্তৃপক্ষ জানান, এটি তাদের বিরুদ্ধে অপপ্রচার। এ বছরের শুরুর দিকে দেওয়ান নাজমুল পরিচালিত যৌথ প্রযোজনার ‘ভয়ঙ্কর গোলমাল’ ছবিটিতেও শিল্পীরা কাজ করেছে একইভাবে। দেওয়ান নাজমুলও অস্বীকার করেছিলেন টুরিস্ট ভিসার বিষয়টি।
সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে, এভাবে দিনের পর দিন বাংলাদেশে অবৈধভাবে কাজ করে যাচ্ছেন ভারতীয় শিল্পী-কলাকুশলী। দূতাবাস বা  সরকার কারো ভ্রুক্ষেপ নেই এদিকে। এ প্রসঙ্গে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র পরিচালক সমিতির মহাসচিব মুশফিকুর রহমান গুলজার বলেন, প্রভাবশালীদের সহায়তায় এসব কাজ হরহামেশায় করে যাচ্ছেন বিদেশি শিল্পীরা। ঘটনাগুলো খতিয়ে দেখা দরকার।
এক পরিচালক জানান, বেশির ভাগ প্রযোজক ও পরিচালক নেতারা জড়িত এসব অবৈধ কর্মকাণ্ডের সঙ্গে। এ কারণেই পরিচালক ও প্রযোজক সমিতিসহ বিএফডিসি কর্তৃপক্ষ এ বিষয়ে নীরব ভূমিকা পালন করছে।