বাংলার পথে

সুনামগঞ্জে লাইসেন্সবিহীন করাতকলের দৌরাত্ম্য

প্রকাশ: বৃহস্পতিবার, ১২ নভেম্বর ২০১৫

জাহাঙ্গীর আলম ভুঁইয়া, সুনামগঞ্জ

সুনামগঞ্জের বিভিন্ন উপজেলায় লাইসেন্সবিহীন করাতকলের সংখ্যা দিন দিন বেড়েই চলেছে। এখানে সরকারের করাতকল বিধিমালা মানা হচ্ছে না। ফলে যত্রতত্র গড়ে উঠছে লাইসেন্সবিহীন করাতকল। তাহিরপুর সীমান্ত এলাকা হওয়ায় ভারত থেকে চোরাইপথে আনা গাছ অবাধে বিক্রি করার অভিযোগ এলাকার স্থানীয় লোকজনের। সরকার রাজস্ব বৃদ্ধির জন্য বহুমুখী পদক্ষেপ গ্রহণ করলেও করাতকলের ওপর আরোপিত নীতিমালা সঠিকভাবে প্রয়োগ না করায় একদিকে বঞ্চিত হচ্ছে রাজস্ব থেকে, অন্যদিকে করাতকল মালিকরা গাছ কেটে বন উজাড় করছে। সরকারি বিধিমালা জারির পরও সুনামগঞ্জ জেলার সব উপজেলায় দুই শতাধিক করাতকল লাইসেন্স ছাড়াই চলছে। অথচ প্রশাসন এ ব্যাপারে নীরব ভূমিকা পালন করছে।
এক তথ্যে জানা গেছে, সংরক্ষিত বন ও সমুদ্রের তীরবর্তী এলাকা থেকে কমপক্ষে ১০ কিলোমিটারর দূরে পৌর এলাকায় সরকারি নীতিমালা অনুযায়ী করাতকল নির্মাণ এবং সব করাতকল মালিককেই লাইসেন্স করতে হবে। ভারতীয় সীমান্তবর্তী এলাকা হওয়ার সুবাধে চোরাইপথ দিয়ে প্রতিদিন ভারত থেকে প্রচুর অবৈধ কাঠ বাংলাদেশে প্রবেশ করছে। করাতকল মালিকরা ওই সুযোগ কাজে লাগিয়ে সরকারের নীতিমালা লঙ্ঘন করে ফায়দা লুটছেন বলে অভিযোগ করে স্থানীয় এলাকাবাসী। করাতকলগুলোয় ভারত থেকে আসা চোরাই কাঠ মজুদ করে বিভিন্ন মাপের কাঠ চেরাই করে রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন জায়গায় পাঠানো হচ্ছে। করাতকল মালিকদের কাছে লাইসেন্স করার ব্যাপারে জানতে চাইলে বলেন, আমাদের লাইসেন্স করার প্রয়োজন হয় না।  প্রশাসন এ ব্যাপারে নীরব ভূমিকা পালন করে থাকে। আমাদের অসুবিধা হয় না।
তাহিরপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইকবাল হোসেন জানান, উপজেলার ভেতরে কোনো অন্যায় ও নিয়মের বাইরে কাজ করলে কাউকেই ছাড় দেয়া হবে না। করাতকলের বিষয়েও ব্যবস্থা নেয়া হবে।

Logo

সম্পাদক ও প্রকাশক: ইলিয়াস উদ্দিন পলাশ

বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয়: ফেয়ার দিয়া ১১/৮/ই, ফ্রি স্কুল স্ট্রিট (লেভেল-৮), বক্স কালভার্ট রোড, পান্থপথ, ঢাকা ১২০৫

© 2025 Shampratik Deshkal All Rights Reserved. Design & Developed By Root Soft Bangladesh